আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য 1.0451 লেভেলে ফিরে এসেছে। স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে কারণ মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে। গতকাল ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য কোনো মৌলিক কারণ ছিল না; তবে, কারেকশন চলাকালীন সময়ে এমন কারণের প্রয়োজন হয় না। কারেকশন মূলত এমন একটি সময় যখন মার্কেটের ট্রেডাররা মুনাফা নিশ্চিত করতে তাদের ট্রেড ক্লোজ করে। সরবরাহ এবং চাহিদার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়, যার ফলে মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে, বর্তমানে নতুন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ট্রেড ওপেন করার পরিবর্তে পজিশন ক্লোজ করার বিষয়টি বেশি দেখা যাচ্ছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়ে চলেছেন যে কীভাবে তারা মার্কিন "কালো তালিকাভুক্ত" হওয়া এড়াতে পারে, তবে ট্রেডাররা তার মন্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলস্বরূপ, কারেকশন চলমান রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই।
বৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.0433-1.0451 এরিয়ার কাছ থেকে বাউন্স করেছিল তবে উল্লেখযোগ্য কোনো নিম্নমুখী মোমেন্টাম প্রদর্শন করেনি। সিগন্যালটি দিনের শেষভাগে গঠিত হয়েছিল, যা বেশিরভাগ ট্রেডার এটি কাজে লাগাতে পারেনি।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোর দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনও মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে। মার্কেটে বর্তমানে একটি কারেকশন হচ্ছে যা ট্রেন্ডলাইনের মাধ্যমে সমর্থিত। যখন মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে যাবে তখন এই কারেকশনের সমাপ্তি নিশ্চিত হবে।
শুক্রবার মার্কেটে তুলনামূলকভাবে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং ধীরগতিতে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি ইউরোর মূল্য 1.0451 লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, তাহলে এটি এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য র্যালি বা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা কম।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, and 1.0845-1.0851। এছাড়াও, শুক্রবার জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলোর ফলাফল ইউরোপীয় ও মার্কিন ট্রেডিং সেশনে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।