আরও দেখুন
বিকেলের দিকে যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0403 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা মার্কেটে একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে নিশ্চিত করেছিল। তবুও, এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়নি; বরং 10 পিপসের সংক্ষিপ্ত দরপতনের পর ইউরোর চাহিদা ফিরে আসে।
এই মুভমেন্টের প্রধান প্রভাবক ছিল ট্রাম্পের বক্তব্য। বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত তার হুমকি যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যদিও এখনও কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব একাধিক বাণিজ্য যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে, এবং ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিটি নতুন কার্যকলাপ বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। ইউরোপীয় দেশগুলোও নিষ্ক্রিয় নেই; কিছু দেশ তাদের বাজারগুলোকে সম্ভাব্য শুল্ক বৃদ্ধির থেকে রক্ষার জন্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে। এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, যেহেতু এই আলোচনা এখনও সম্পূর্ণরূপে জল্পনামূলক, তাই ইউরো শক্তিশালী হয়ে চলেছে।
আজ ইউরোজোনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এগুলো ইউরোজোনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস PMIs (পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স) এর প্রত্যাশিত সূচকগুলো চলমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মুখে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করতে পারে। এই সুচকগুলোর মিশ্র ফলাফল বিভিন্ন খাতের অস্থিতিশীলতা নির্দেশ করতে পারে: যেখানে উৎপাদন খাতে মন্থরতার সংকেত পাওয়া যেতে পারে এবং পরিষেবা খাতে বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া পারে, যা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রত্যাশার দিকে পরিচালিত হতে পারে। এই মনোভাব ইউরোকে সমর্থন যোগাতে পারে এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, ইউরোজোন অর্থনীতির কোনো দুর্বলতার সংকেত পাওয়া গেলে ইসিবির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের কম হয়, তবে ইসিবির আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা করা যেতে পারে, যা সম্ভবত ইউরোকে দুর্বল করতে পারে।
আজকের দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0523-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0470-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0523 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0437-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0470 এবং 1.0523-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0437 এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0394-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0470-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0437 এবং 1.0394-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।