ওয়াইন তৈরিতে সেরা ৫টি দেশ
বিশ্বের অনেক দেশই ওয়াইন তৈরির ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কিছু দেশেই দারুণ স্বাদের ওয়াইন পাওয়া যায়। আসুন আজ বিশ্বের সেরা মানের ওয়াইন তৈরি করে এমন কিছু দেশ সম্পর্কে জেনে নেই।
আব্রাহাম লিংকন
আব্রাহাম লিংকন 1861 থেকে 1865 সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় ইউনিয়ন রক্ষা করেছিলেন বলে তাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় এবং সেইসাথে তিনি দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। 1863 সালে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসত্ব বিলুপ্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করে মুক্তির ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। 2021 সালে সি-স্প্যান দ্বারা পরিচালিত এক জরিপে, লিংকনকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছিল। সংকটকালীন মুহূর্তে তার নেতৃত্ব, তার নৈতিক কর্তৃত্ব এবং মার্কিন জাতির জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
জর্জ ওয়াশিংটন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন (1789-1797) একটি নতুন জাতি প্রতিষ্ঠায়, নির্বাহী ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন এবং প্রেসিডেন্সির জন্য মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতার লড়াইয়ে আমেরিকান মহাদেশীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং 1787 সালের সাংবিধানিক কনভেনশনের সভাপতিত্ব করেন, যা দেশটিতে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি করে। দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট থাকার পর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করে ওয়াশিংটন একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করেছে।
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন। তিনি নিউ ডিল প্রোগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করে দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছেন। রুজভেল্ট আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
থিওডোর রুজভেল্ট
থিওডোর রুজভেল্ট বিশ শতকের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেসময় তার বয়স মাত্র 42 বছর ছিল যা তাকে মার্কিন ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্টের তকমা দেয়। তার প্রশাসন একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা মোকাবেলা এবং ভোক্তা অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে প্রগতিশীল সংস্কারের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে, তিনি নিজেকে একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং পোর্টসমাউথ চুক্তির মধ্যস্থতার জন্য 1906 সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন, যা রুশ-জাপান যুদ্ধের অবসান ঘটায়।
ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার
ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার 1953 থেকে 1961 সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যদিও পূর্বে তার কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না কিন্তু বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার দারুণ সামরিক ক্যারিয়ারের জন্য তিনি উল্লেখযোগ্য সমর্থন অর্জন করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইজেনহাওয়ার স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে, আন্তর্জাতিক জোট জোরদার করতে এবং কূটনৈতিক উদ্যোগকে উন্নীত করতে কাজ করেছিলেন। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ব্যবস্থা তৈরিতে অগ্রগামী ছিলেন, যা দেশটির অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সুগম করেছে।
হ্যারি এস ট্রুম্যান
হ্যারি এস. ট্রুম্যান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং স্নায়ুযুদ্ধের শুরুর বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন। 1945 সালে, তিনি জাপানে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের অনুমোদন দেন, যা দ্রুতই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। 1947 সালে, ট্রুম্যান কমিউনিস্ট প্রভাবের বিপরীতে ট্রুম্যান মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউরোপীয় অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য মার্শাল প্ল্যান চালু করেন। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের অংশ হিসেবে তিনি ফেয়ার ডিল প্রোগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণ, পূর্ণমাত্রায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমেরিকানদের জন্য আবাসন অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করেন।
টমাস জেফারসন
টমাস জেফারসন 1801 থেকে 1809 সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যখন তিনি অপেক্ষাকৃত নবীন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি 1776 সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল লেখক ছিলেন যার মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে 1803 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের কাছ থেকে লুইসিয়ানা কিনে নিয়েছিল, যা দেশটির আকার দ্বিগুণে পরিণত করেছিল এবং পশ্চিম দিকে সম্প্রসারণের পথ প্রশস্ত করেছিল। জেফারসন নতুন ভূমি অন্বেষণ এবং আমেরিকা মহাদেশের অজানা জ্ঞানের সম্প্রসারণের জন্য লুইস এবং ক্লার্ক এক্সপিডিশন প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন।
বিশ্বের অনেক দেশই ওয়াইন তৈরির ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কিছু দেশেই দারুণ স্বাদের ওয়াইন পাওয়া যায়। আসুন আজ বিশ্বের সেরা মানের ওয়াইন তৈরি করে এমন কিছু দেশ সম্পর্কে জেনে নেই।
সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় খবর হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়। এই ঘটনাটি সারা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জুড়ে, বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট নাটকীয়ভাবে দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পুনর্বিন্যাস করেছে এবং বিদেশে দেশটির প্রভাব জোরদার করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী কিছু ঘটনার দিকে আলোকপাত করা যাক
ডিপফেক হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে নকল ভিডিও, অডিও এবং বাস্তব মানুষের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছবি তৈরি করার প্রযুক্তি, যা দেখতে ও শুনতে বাস্তব মনে হলে তা আদতে বাস্তব নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এটি অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা প্রশংসা এবং উদ্বেগ উভয়ই উদ্রেক করেছে। যেসকল সেলিব্রেটিদের মুখ প্রায়শই এই ধরনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তারা এর প্রভাব সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভব করেছে। এই প্রবন্ধে, আমরা পাঁচজন "ডিপফেক প্রযুক্তির" শিকার ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করব।